Menu

যে তিন মাসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা বৈধ্য

মাসজিদ আল্লাহর ঘর। আভিধানিকভাবে এর অর্থ সিজদার স্থান যা অন্তত পবিত্র। সব মাসজিদই আল্লাহর মালিকানায় তবে এর মাঝেও কয়েকটি মাসজিদ আছে যেগুলো ফজিলতের দিক দিয়ে অনন্য ও অন্যতম। বিশেষত এই মাসজিদগুলো ছাড়া অন্য কোন মাসজিদ জিয়ারার উদ্দেশ্যে সফর করা শারিয়িভাবে বৈধ নয়। এই মাসজিদগুলো হচ্ছে;

(১) মাসজিদুল হারাম
যা আমাদের কিবলা ও কাবা ঘিরে অবস্থিত। কুরআনুল কারীমের জন্মভূমি মক্কা নগরীর হারাম এলাকায় এর অবস্থান। এই মাসজিদের অদুরেই অবস্থিত কুরআন মাজিদ নাযিলের স্থান জাবালে নূর এবং হিজরতের সময়কালে আত্মগোপনের স্থান জাবালে সাউর। সাথে ঐতিহাসিক নিদর্শনসমৃদ্ধ আরও অনেক স্থান।

(২) মাসজিদুন নববী
এই মাসজিদকে বলা হয় নবীর মাসজিদ। যেখানে রিয়াযুল জান্নাহ অবস্থিত এবং সেখান থেকেই হাউজে কাওসারের উৎপত্তি। এই মাসজিদ লাগোয়া শায়িত আছেন আমাদের প্রানাধিক প্রিয় নবী ও রাসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পাশেই অবস্থিত গারকাদে বাকী যা জান্নাতুল বাকী হিসাবে সুপরিচিত। অদুরেই আছে মাসজিদে কুবা সহ ঐতিহাসিক নিদর্শনসমৃদ্ধ আরও অনেক স্থান।

(৩) মাসজিদুল আকসা
বায়তুল মুকাদ্দাস নামেই বহুল পরিচিত। তৎকালীন জেরুজালেমে অবস্থিত যার বর্তমান নাম ফিলিস্তিন। এই মাসজিদই ছিলো মুসলমানদের প্রথম কিবলা। আল্লাহ রব্বুল আলামিনের আমন্ত্রনে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাসজিদ থেকেই যাত্রা করেছিলেন মিরাজের উদ্দেশ্যে। এই মাসজিদই সেই মাসজিদ যেখানে সকল নবী ও রাসূলগন সফর করেছেন। শেষ জামানায় এই মাসজিদকে কেন্দ্র করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম।

সব মাসজিদের মালিক আমাদের রব মহা পরাক্রমশালী ও অসীম দয়ালু আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার সকল মাসজিদ তাকওয়া ও ইখলাসের সাথে আবাদ করার তাওফিক দান করেন। খাস করে মাসজিদ আল হারাম, মাসজিদ আন নববী, এবং মাসজিদ আল আকসায় সফর করার তাওফিক দান করেন। অমুখাপেক্ষী আল্লাহ যিনি যা খুশি করার অধিকার রাখেন ও সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী তিনি আমাদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস তথা মাসজিদ আল আকসা কে জালিম সম্প্রদায়ের হাত থেকে রক্ষা করে আমাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিন। আমিন ইয়া রব্বুল আলামিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *