জুমার দিনে আসরের সলাতের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত দু’আ কবুলের সময়, এই সময়টাকে “সা’আত আল ইসতিজাবাহ” বলা হয় যার অর্থ “সাড়া দেওয়ার সময়”)
যাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবীজী ﷺ বলেছেনঃ “জুমা বার বারো ঘন্টা নিয়ে গঠিত। এই সময়ের মধ্যে একজন মুসলমান যে আল্লাহর কাছে কিছু চাইবে তা তাকে তা দান করা হবে। আছরের পরে শেষ মুহুর্তে এটি সন্ধান করা উচিৎ।
● (سنن أبي داود ١٠٤٨، سنن النسائ ١٠٣٢)
● [المستدرك على الصحيحين ١٠٣٢]
নবী ﷺ বলেছেনঃ “জুম’আ বার এমন একটি সময় আছে যে কোনও মুসলিম যদি এ সময় দু’আ করে তবে তার দু’আ গ্রহণ করা হবে।”
● {صحيح البخاري ٥٢٩٥، صحيح مسلم ٨٥٢}
ইমাম ইবনে আল-কাইউম বলেছেনঃ “এমন এক সময় যখন দু’আ গ্রহণ করা হবে তখন জুম’আর আছরের শেষ ঘন্টা চলবে।
● {زاد المعاد ١/١٠٤}
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “জুম’আ বার আছরের (মধ্য-বিকাল) নামাজের পরে সূর্য ডুবে যাওয়া অবধি দু’আর জবাব দেওয়া হবে এমন আশা রয়েছে, আর তোমরা সেই সময়টি সন্ধান করো।
● [صحيح للألباني في صحيح الترغيب و الترهيب ٠٠٧]
ইবনে আল-কাইয়িম বলেছেন: “এতে সাড়া জাগানো (অর্থাৎ শুক্রবার) রমজানের ডিক্রি রাতের মতো।
● [زاد المعاد ٣٩٨/١]
আল্লাহ সবাইকে এই সময় উপভোগ করার তৌফিক ও তৌফিকে বারাকাহ দান করুন। নিজের জন্য দু’আ করুন, অন্যের জন্য দু’আ করুন। রাব্বে কারীম সবাইকে সহজ ও সফল দুনিয়া ও আখিরাত দান করুন। আমীন।